স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ এলাকার স্থানীয় বছির উদ্দিনের দুটি পুকুরে মাছ মরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার শিক্ষক সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ আগস্ট স্থানীয় বাসিন্দা ও পলাশতলী আমিরাবাদ দাখিল মাদরাসা শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও বিদ্যানন্দ ফাজিল মাদরাসার অফিস সহকারী আসাদুজ্জামান সহ ৫ জনকে আসামী করে ফুলবাড়ীয়া থানায় মামলা করেছেন পুকুর মালিক বছির উদ্দিন।
মামলায় এজাহারভূক্ত ২ নাম্বার আসামী ইদ্রিস আলী ওরফে ইলিয়াস ওরফে ইলি মিয়াকে বিদ্যানন্দ বাজার হতে ১৭ আগস্ট গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করে পুলিশ। অপরদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইলি মিয়া জানান, শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে জবানবন্দী আদায় করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, উল্লেখিত পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার ১৫ দিন পরেও মাছ অন্য পুকুরে সরানো হয়েছে। তারা বলছেন, এ মামলার মাধ্যমে এলাকার সজ্জন ব্যক্তিদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলার বিবাদীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় তারা জড়িত নন। মূলত, হয়রানির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে এ মামলায় তাদের জড়ানো হয়েছে।
তবে মামলার বাদী পুকুর মালিক বছির উদ্দিন বলেন, প্রথমে অভিযোগ করা হয়েছিলো। পরে সন্দেভাজন ব্যক্তির আত্মীয়দের সহযোগিতায় তাকে থানায় নিয়ে এজহার করা হয়। কালাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের নিকট সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান প্রত্যাশা করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাছ মরার বিষয়ে পুকুরে অক্সিজেন স্বল্পতার লক্ষন পরিলক্ষিত হয়েছে৷ ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান থানায় আসামি নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ মামলায় তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।