স্টাফ রিপোর্টার :
ফুলবাড়িয়া সাংবাদিক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় তার ভাই ও বাবা আহত হন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মারুফ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বরুকা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ড. জাহাঙ্গীর আলমকে মাথা ও পায়ে কুপিয়ে আহত করে। এছাড়া রড দিয়ে পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তার বাবা আব্দুল কদ্দুছ, মা রোকেয়া বেগম ও ভাই রানা মন্ডল এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে, তার বাবা ও মায়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সাংবাদিক ড. জাহাঙ্গীর আলম ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে প্রতিবেশী সোরহাব আলী ও তার পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সোরহাব আলী ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ড. জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে আটজন নাম দিয়ে ও অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরে পুলিশ মারুফ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।
ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “যারা আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের চাচাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল, কিন্তু তারা আমাদের বাড়িতে এসে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।” প্রতিপক্ষ মো. শহিদুল্লাহ বলেন, “সাংবাদিকের পরিবারের লোকজন আমাদের উপর হামলা করলে, এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষই আহত হয়েছে।”
ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. রুকনুজ্জামান জানান, পূর্ববিরোধের জেরেই সাংবাদিক ও তার পরিবারে উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
অপরদিকে শুক্রবার সন্ধ্যার পর হাসপতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলমকে দেখতে গিয়েছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর, ফুলবাড়ীয়া আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মু. কামরুল হাসান মিলন। এসময় তিনি তাঁর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং সুস্থ্যতা কামনা করেন। তিনি বলেন, যারা অন্যায়ভাবে সাংবাদিকের উপর হামলা করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।