
ইসলামের রীতি নীতি মানতে হবে – ওসি
ফুলখড়ি ডেক্সঃ
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সমাজের সম্মানিত ইমামগন সামান্য বেতনে চাকুরি করেও পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর পরিবেশে জীবনযাপন করছেন। তারা আমাদের চেয়েও অনেক পরিপাটি ও ভালো আছেন। তাদের তুলনায় আমরা অনেক বেশি টাকা উপার্জন করেও কেন পারছি না? । তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, জীবন দিয়ে হলেও পিতা-মাতার সেবা করতে হবে, কোনক্রমেই পিতামাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো যাবেনা।বর্তমানে মোবাইল ফোন সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে এ থেকে তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে।তিনি কুরআন ও হাদীসের আলোকে বলেন, মিথ্যা ,সুদ ও ঘুষ খোর তাদের জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে, কাজেই এ পৃথিবীতে যা ইচ্ছা তাই করা যাবে না। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন,অনেক হতাশার মধ্যেও আজকে আমি আশান্বিত হচ্ছি ,আমি নিজেকে এজন্য ভাগ্যবান মনে করছি যে ফুলবাড়ীয়ার মানুষ ইসলাম প্রিয়। আর এই এলাকাতেই আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের প্রত্যেকের যার যার অবস্থান থেকে ভালো কাজ করতে হবে।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, ইসলামের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। ইসলামের রীতি নীতি মেনে চলতে হবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগে পরিবার ঠিক রাখতে হবে। সন্তান নাতী-পুতি কে কোথায় যাচ্ছে তার খোঁজ খবর রাখতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ ও সৎপথে চলার আহবান জানাতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ দেশ ও সমাজ আমাদের তা মনে রাখতে হবে। মাদক ও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতাবোধ সৃষ্টি করতে হবে।
গত শুক্রবার (২৩ মে) জুমআর নামাজের আগমুহুর্তে ভালুকজানস্থ মাদানী মসজিদে অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৪০ দিনের জামাতের সাথীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ এসব কথা বলেন।
অতিথিবৃন্দ মাদানী মসজিদে পৌছলে তাবলীগ জমাতের আমীর আলহাজ্ব মো. আব্দুল আজিজ, দায়িত্বশীল আলহাজ্ব মো. আফতাব উদ্দিন, আলহাজ্ব মো. আব্দুল খালেক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. কবীর হোসেন, আলহাজ্ব মাসুদ আহম্মেদ মাসুদ, মো. শাহজাহানসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানান।
ঐ মসজিদের দায়িত্বশীল সম্মানিত ব্যক্তিরা “ মসজিদ মাদানী” এর সমস্যা ও উন্নয়ন সম্পর্কে অতিথিবৃন্দকে অবহিত ও সহযোগীতা কামনা করেন।